মোঃ তৌফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার (২০ জুলাই) সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আড়ংগাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আজাহার আলীর ছেলে নিহত গোলবার হোসেন। এ ঘটনায় আরো আহত হয়ে হাসপাতালে আছে নিহতের ছেলে শাকিল আহমেদ(৩০)।
তাড়াশ থানার ওসি মো: শহিদুল ইসলাম জানান, মারধরে আহত গোলবার হোসেনকে বগুড়া চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহত গোলবার হোসেনের ভাই আব্দুল মজিদ জানান,একই গ্রামের প্রতিবেশি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আল-আমিনের কাছে থেকে গোলবার হোসেন ৫মণ ধান গত অগ্রায়ন মাসে ধার নেন। পরবর্তীতে ধানের টাকা ফেরত দিতে দেরি হলে তাদের কাছে সুদসহ ফেরত দেয়ার জন্য সময় নেন গোলবার। এ নিয়ে কিছুদিন পুর্বে গোলবার ৫মণ ধানের মুল্যে হিসেবে ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্ত সুদের টাকা দিতে না পারায় কোরবানীর ঈদের দুদিন পুর্বে পারিবারিকভাবে একটা ঝগড়া হয়।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৯জুলাই) শালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে মোঃ আল আমিন (৩০), মোঃ আলমগীর হোসেন (২২), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২০) এবং ইসলাম আলীর ছেলে রুবেল আহমেদ শালিশ অমান্য করে। বুধবার সন্ধ্যায় গোলবার হোসেনের ছেলে শাকিলকে আড়ংগাইল বড় বাজারে তার চা ষ্টলে দেখতে পেয়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে মারপিট শুরু করে। তখন শাকিলের বাবা গোলবার ও চাচা মজিদ ঠেকাতে গেলে গোলবারকেও মারপিট করে। এসময় তারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য পাশের রবিউল করিমের দোকানে পালিয়ে গেলে সেখানে গিয়ে গোলবার ও শাকিলকে বেধরক মারপিট করে।
তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গোলবার হোসেন ও তার ছেলে শাকিল আহমেদকে গুরুত্ব আহতবস্থায় উদ্ধার করে তাড়াশ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: এ এস এম রাকিবুল হাসান জানান, মারধরের শিকার গোলবার হোসেন ও তার ছেলে শাকিলকে হাসপাতালে নিয়ে এলে গোলবার হোসেনকে বগুড়া রেফার্ড করা হয়। আর শাকিলকে তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম জানান, রাতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।