গত রাত আনুমানিক ৯টার সময় মাছ ধরতে গ্রামের জলাভুমি তে যায় রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার কুর্শা ইউনিয়নের নায়রা পাড়ার আব্দুল হাদীর ছেলে ২৫ বছরের যুবক ফিরোজ মিয়া। হাটুজলে টর্চ দিয়ে কোচা/ফাচা নামক লোহার সুচালো অস্ত্র দিয়ে মাছ ধরা বাংলার গ্রাম দেশে বহু প্রচলিত। তো সেই মাছ ধরতে গিয়ে রাত সারে ৯টার দিকে ফিরোজ তার বাম পায়ে হালকা কামোর অনুভব করে। পাসে লাইট জালিয়ে সাপ চোলে জেতে ও দেখে কিন্তুু সাপ সনাক্ত করতে পারেনি। এরপর লাইট জালিয়ে পায়ে সুধু একটা হালকা দাগ দেখে গুরুত্ব না দিয়ে যথরিতি মাছ ধরায় মনযোগি হয় ফিরোজ। কেটে যায় এক থেকে ডের ঘন্টা। এরপর শরিরে অসস্তি অনুভব করতে সুরু করে ফিরোজ। পাসে থাকা আরেক মাছ ধরতে আসা ভাগিনা কে বলে যে কিছুক্ষন আগে তাকে সাপে কামরেছে কিন্তু তেমন কোন দাগ না থায় গুরুত্ব দেইনি কিন্তুু এখন আমার খারাপ লাগতেছে। চোখ পোরে আসতেছে বমি বমি ভাব হচ্ছে,বুকে চাপ অনুভব করছি খুব দুর্বল লাগছে। এমতো অবস্থায় পাসের সেই ভাগিনা এবং আরেজন মিলে পায়ে দুটো বাধন দিয়ে ফিরোজ কে ঘারে করে নিয়ে যায় পাসের পাড়ার ওঝা হাফিজারের কাছে এবং বাড়িতে খবর পাঠায় ফিরোজকে সাপে কামরেছে। ইতি মধ্যে ওঝা তার তথাকথিত ঝার’ফুক শুরু করে দিয়েছে। ফিরোজের বাবা হাদী মিয়া ঘটনা স্থলে পৌছে কামরানোর জায়গায় তেমন দাগ দেখতে না পেরে ছেলেককে আসস্তত করে যে কিছু হবেনা তোর’হয়ত ঢোরা সাপ কামরেছে। এভাবে সময় গরাতে থাকে ফিরোজ একটু একটু করে এগোতে থাকে মৃত্যুর দিকে। এরপর অবস্থা আরো খারাপ হলে প্রথম ওঝা আর দায়িত্ব নিতে অপারকতা প্রকাশ করে এবং হাসপাতালে নিয়ে জাওয়ার কথা বলে। কিন্তুু মুর্খতার চরম পরিচয় দেয় ফিরোজের বাবা সহ পরিবাড়ের লোকজন’রা। মাত্র ১২কি:মি: দুরে থাকা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে তারা আবারো অটোরিকশায় করে ফিরোজ কে নিয়ে যায় ১০কিমি দুরের বুদুকাওয়ালা নামোক জায়গার বড় কবিরাজের কাছে। তখন বাজে রাত ১টা। সাপ বাইট করার ৩ঘন্টা পেরিয়েগেছে ততক্ষনে। ফিরোজ এরি মাঝে তিনবার বমি করে। পেট বুক ব্যাথা এবং চোখে একদম ঝাপসা দেখতে পাওয়ার কথা তার সাথে থাকা ভাইকে বলে। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ওঝার কাছে ঝারফু না করে হাসপাতালে নিতে চাইলে বড় কবিরাজ বলে ওঠে আমাকে চেষ্টা করতে দিন আমি বাশ ঝার থেকে ঔষুধি পাতা তুলে আনছি। এরপর ফিরোজের মুখে কিছু পাতা ঢুকিয়ে দেয় কবিরাজ মহাশয় এবং চিবিয়ে খেতে বলে। কিন্তুু ততক্ষনে ফিরোজের মুখে চিবানোর মত শক্তি আর নেই। ছটফট করতে করতে অঙান হয়ে পরে ফিরোজ তারপর মুর্খ পরিবাড়ের লোকজন ফিরোজ কে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছালে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার রাত আনিমানিক ৩টার দিকে ফিরোজ কে মৃত ঘোসনা করে।।#প্রিয় বন্ধুরা সমস্ত ঘটনা” কামরের চিন্হ দেখে এবং রুগির উপসর্গের কথা শুনে আমি ৯০% নিশ্চিত হয়েছি যে ফিরোজ কে কামরানো সাপটি এসিয়া মহাদেশের স্থলভাগের সবচে বিষধর সাপ Comon krait/কালাচ।আর এই সাপ মানুষের বসত বাড়িতে ঢোকার প্রবনতা বেশি এই সাপের বেশির ভাগ কামোর মানুষ তার বাড়িতে অথবা আসেপাসেই খায় যোদিও ফিরোজ কে নির্জন জলামাঠে বাইট করেছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গনসচেতনতা বৃদ্ধি করুন। অন্ধকার জংলা যায়গায় যাওয়া ত্যাগ করুর। ঘুমতে যাওয়ার আগে ঘর বিছানা ভালো করে চেক করুন। উচু বিছানা এবং মশারি ব্যাহার করুন। আর অবশ্যই সাপে কাটা রগির একমাত্র চিকিৎসা জেলাসদর হাসপাতাল এটা বার বার বলুল প্রচার করুন। ওঝা গুনিন কবিরাজদের ভন্ডামি কে প্রতিহত করুন দরকার হলে বনবিভাগ ও পুলিশের সাহায্য নিন।খুব প্রয়োজন হলে রুগির জীবন বাচার জন্য বল প্রয়গ করে হলেও রগির স্বজনদের হাসপাতালে যেতে বাধ্য করুন।তথ্য সংগ্রহে : Nirob Ahmezz