করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে।দীর্ঘ চৌদ্দ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কবে খুলবে, তা কেউ জানে না। কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। লক্ষণও আশাব্যঞ্জক নয়।কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্টান ছাড়া বাংলাদেশের সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতেছে। দোকানপাট,কলকারখানা,যানবাহন,বিনোদন স্হল সবখানে মানুষের ঢল,কোথাও স্বাস্থ্যবিধি বালাই নাই।করোনা এই মহামারিতে অনিশ্চিত দুটি পাবলিক পরিক্ষা,এসএসসি ও এইচএসসি।গত বছর এইচএসসি পরিক্ষার্থিদের অটোপাশ দিলে ও এইবার কিভাবে মূল্যায়ন করবে তা কেবল সময় বলে দিবে। কিন্তু অটো কি একমাত্র সমাধান? এক শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান ছাড়া অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ কতোটুকু যুক্তিযুক্ত?
৬ষ্ঠ থেকে দশম ও ২০২২ সালের এইচএসসি পরিক্ষার্থিদের এস্যাইনমেন্ট কতোটুকু ফলপ্রসূ হবে?ইউটিউবে সকল প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যায় এতে করে শিক্ষার্থীরা কি শিখতে পারছে?দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে অনেক শিক্ষার্থী নিজেকে বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িয়ে নিয়েছে এবং অপরাধ প্রবণতার নিতান্তই বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে অনেক মা-বাবা তাদের কন্যাসন্তানদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে যার কারণে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ’র হার বেড়ে গিয়েছে।অন্যদিকে অনলাইন ক্লাসের কারণে শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন থাকার ফলে তাদের অনলাইন গেইমের প্রতি আসক্ত বেড়ে গিয়েছে তাদের লেখাপড়ার প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে এবং তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে মোবাইল ফোন ও মেগাবাইট কিনার জন্য টাকা না দিলে অনেকে আত্নহত্যার পথ ও বেঁচে নিয়েছে।