বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের দুর্যোগকালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের আহবান জানিয়েছে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।
শনিবার ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নূরুন্নবী ইসলাম সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জি. কে. সাদিক এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ আহবান জানান।
বিবৃতি সুত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মানবেতর পরিস্থিতির শিকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেও ইবি প্রশাসন এখনও এব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
কিন্তু সারা বছর ট্যাক্স দেয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর গঠিত ত্রাণ তহবিলে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছে। দেশের এই দুর্যোগের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ মনে করে যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আগে নিজ প্রতিষ্ঠানের মানবেতর পরিস্থিতির শিকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো।
যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারে শিক্ষার্থীরা পরিবার নিয়ে মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত।
পরিবারের ও নিজের সম্মানের কথা ভেবে অনেক শিক্ষার্থীই কারো কাছে সহায়তাও চাইতে পারছে না। তারা যা উপার্জন করত তাও এখন বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর ঘরে খাবার ব্যবস্থাও নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা ছাত্র ইউনিয়ন থেকে গণতহবিল গঠন করে সহায়তার ব্যবস্থা করলেও প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থীই সহায়তার জন্য যোগাযোগ করছেন কিন্তু তহবিল সংকটের জন্য আমাদের পক্ষে সবাইকে সহায়তা করাও সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেও এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে সারা বছর ট্যাক্স দেয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১৫ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছে। যেটা অভুক্তকে খাবার না দিয়ে তেলের মাথায় তেল দেয়ার মতো কাজ হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ-এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান রাখছি,
শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসন দ্রুতই তহবিল গঠন করে দুর্যোগকালীন শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হবেন। এ ক্ষেত্রে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে।