সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম হোসেন জেমসের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত মোনায়েম তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হেমনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ইডেন কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েমের সাথে ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে জেমস তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর লালবাগের রসুলপুর এলাকার একটি বাসাবাড়িতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী বর্তমানে পাঁচ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ৩০ জানুয়ারি ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা করে জানতে পারে তিনি চার সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি মোনায়েমকে অবগত করলে সে বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। পরে মোনায়েমের বাবা ও ভাইকে বিষয়টি জানালে তারাও একই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গত ৪ জানুয়ারি মোনায়েমের সাথে ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর বিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন মোনায়েমের পরিবার। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে কৌশলে ৩ ফেব্রুয়ারি অন্য একটি মেয়ের সাথে মোনায়েমের বিয়ে দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকার লালবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোনায়েমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত মোনায়েমের বাবা আব্দুল ওহাব জানান, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।তার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। জেমস বর্তমানে ভারতে রয়েছে বলে জানা তিনি।


এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ খোন্দকার বলেন, তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা পেলে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
– মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার